HomeBlogস্টার টপোলজি এর সুবিধা ও অসুবিধা

স্টার টপোলজি এর সুবিধা ও অসুবিধা

বাস টোপোলজি ও স্টার টোপোলজি এর মধ্যে পার্থক্য:সংজ্ঞা : যে টপোলজি একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হোস্ট কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে তাকে স্টার টপোলজি (Star Topology) বলে। এটি হলো এক প্রকারের নেটওয়ার্ক টোপোলজি। এই ধরনের টপোলজিতে নেটওয়ার্কের আদান-প্রদান করার জন্য মাঝে একটি কম্পিউটার থাকে। এবং সেই কেন্দ্রে থাকা কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে গুলিকে কানেক্ট করা হয় নেটওয়ার্ক আদান-প্রদানের জন্য। এই ধরনের টপোলজির দেখতে কতটা তারার মত হওয়ার কারণে এটিকে স্টার টপোলজি বলা হয়।একটি নেটওয়ার্কে(network) কম্পিউটার(computer)এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিগুলাে একে অপরের সাথে কীভাবে যুক্ত সেই পদ্ধতিই হলাে নেটওয়ার্ক টপােলজি(Network topology)। কয়েকটি কম্পিউটার বিক্ষিপ্তভাবে তার দিয়ে জোড়া দিয়ে দিলেই একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি। হয়ে যায় না। বরং নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলােকে এমনভাবে যুক্ত করা প্রয়ােজন যেন সংযােগকারী তারের মাধ্যমে ডাটা

YouTube

আদান-প্রদান সহজসাধ্য এবং সহজে নিয়ন্ত্রণযােগ্য হয়। নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলাের ভৌত সংযােগ বিন্যাস এবং নির্বিঘ্নে ডেটা আদান-প্রদানের যুক্তিনির্ভর সুনিয়ন্ত্রিত পথের পরিকল্পনা, এ দুয়ের সমন্বিত ধারণাকে বলা হয় নেটওয়ার্ক টপােলজি। একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কম্পিউটার ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি থাকতে পারে। নেটওয়ার্কে

সংযুক্ত প্রতিটি যন্ত্রের (কম্পিউটার, প্রিন্টার ও এ ধরনের অন্যান্য যন্ত্রপাতি) সংযােগস্থলকে সাধারণভাবে নােড নামে অভিহিত করা হয়। কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সাধারণত নিচে উল্লিখিত টপােলজিগুলাে ব্যবহার করা হয়।

টপোলজি মোট ৬ প্রকার।প্রকারভেদ গুলো-

১. বাস টপােলজি (Bus Topology)

২. স্টার টপােলজি (Star Topology)

৩. রিং টপােলজি (Ring Topology)

৪. ট্রি টপােলজি (Tree Topology).

৫. মেশ টপােলজি (Mesh Topology)

৬. হাইব্রিড টপােলজি (Hybrid Topology)

Facebook

স্টার টপোলজি :

যে টপোলজি একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হোস্ট কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে তাকে স্টার টপোলজি (Star Topology) বলে। এটি হলো এক প্রকারের নেটওয়ার্ক টোপোলজি। এই ধরনের টপোলজিতে নেটওয়ার্কের আদান-প্রদান করার জন্য মাঝে একটি কম্পিউটার থাকে। এবং সেই কেন্দ্রে থাকা কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে গুলিকে কানেক্ট করা হয় নেটওয়ার্ক আদান-প্রদানের জন্য। এই ধরনের টপোলজির দেখতে কতটা তারার মত হওয়ার কারণে এটিকে স্টার টপোলজি বলা হয়।

স্টার টপোলজি সম্প্রসারিত রূপ

স্টার টপোলজির সুবিধাঃ

১. এ টপোলজির সাহায্যে খুব তাড়াতাড়ি সহজে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।

২. নেটওয়ার্কে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করেই স্টার টপোলজিতে নতুন কম্পিউটার যুক্ত করা যায়।

৩. কেন্দ্রীয় ডিভাইস হিসেবে সুইচ/হাব ব্যবহারের ফলে দ্রুত এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে ডেটা বা উপাত্ত আদান-প্রদান করা যায়।

৪. এ সংগঠনে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে বাকি নেটওয়ার্কের উপর তার কোনো প্রভাব পড়ে না।

৫. খুব সহজে সমস্যায় আক্রান্ত কম্পিউটারটি সরিয়ে নেওয়া যায়।

৬. একই নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল ব্যবহার করা যায়।

৭. কেন্দ্রিয়ভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য নেটওয়ার্কের সমস্যা নিরূপণ সহজ।

৮. ইনটেলিজেন্ট হাব ব্যবহার করলে তার সাহায্য নেটওয়ার্কের কর্মকাণ্ড তথা ওয়ার্কলোড মনিটরিং করা য়ায়।

৯. এ সংগঠনে কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে বাকি নেটওয়ার্কের উপর তার কোনো প্রভাব পড়ে না।

১০. সরাসরি হোস্টের সাথে কম্পিউটার কানেক্ট হওয়ার কারণে নেটওয়াক আদান-প্রদান এর গতি দ্রুত হয়,নতুন কম্পিউটার যোগ করতে বা সরাতে পুরো নেটওয়ার্ক বন্ধ করার প্রয়োজন হয় না।

১১. কেন্দ্রীয় হোস্টের সাথে বাকি কম্পিউটারগুলি যুক্ত থাকে।

১২. হোস্টের মাধ্যমে কম্পিউটারগুলিকে নিয়ন্ত্রন করা হয়।

১৩. এই ধরনের টপোলজি তারার মতো আকার ধারণ করে।

১৪. হোস্ট ছাড়া বাকি কম্পিউটারগুলি অন্যান্য কম্পিউটারগুলির সাথে, ডাটা আদান-প্রদান করতে পারে না। 

১৫. সংকেত সংঘর্ষ ঘটার আশঙ্কা কমায়।

১৬. সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সচল রেখেই যেকোনো সময়ে নেটওয়ার্কে নতুন নোড যুক্ত করা যায়।

১৭. সুইচ ব্যবহারের কারণে বাস বা রিং টপোলজির তুলনায় এর ডেটা নিরাপত্তা বেশি।

১৮. দক্ষ সমস্যা সমাধান: সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বাস টপোলজির তুলনায়স্টার টপোলজি বেশ দক্ষ।

১৯. সমস্ত স্টেশন কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। সুতরাং সমস্যা সমাধানের জন্য নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে একক স্টেশনে যেতে হয়।

২০. সীমাবদ্ধ ব্যর্থতা: প্রতিটি স্টেশন যেহেতু নিজস্ব তারের সাহায্যে কেন্দ্রীয় হাবের সাথে সংযুজ্জ থাকে সুতরাং এক কেবলের ব্যর্থতা পুরো নেটওয়ার্ককে প্রভাবিত করবে না।

২১. সহজেই প্রসারণযোগ্য: হাবের মুক্ত পোর্টে নতুন স্টেশন যুক্ত করা যায় বলে এটি সহজেই প্রসারণযোগ্য।

২২. কার্যকর ব্যয়: স্টার টপোলজি নেটওয়ার্কগুলির কার্যকর ব্যয় হয় কারণ এটি সস্তা দামের ক্যাবল ব্যবহার করে।

২৩. উচ্চ ডেটার গতি: এটি প্রায় 100 এমবিপিএসের ব্যান্ডউইথকে সমর্থন করে।

২৪. কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি স্বাভাবিক থাকে।

২৫. নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলো পরস্পরের মধ্যে সরাসরি তথ্য বা ডেটা আদান-প্রদানে সক্ষম হয় না।

LinkedIn

স্টার টপোলজি এর সুবিধা ও অসুবিধা স্টার টপোলজি এর সুবিধা ও অসুবিধা

স্টার টপোলজির  অসুবিধা :

১. কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকা হাবে কোনো প্রকার সমস্যা হলে তা পুরো নেটওয়ার্কে অকেজো করে দেয়।

২. স্টার টপোলজিতে পরিমাণে বেশি ক্যাবল ব্যবহৃত হয়, বিধায় এটি একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি।

৩. কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ডেটা ট্রান্সমিশনের হার হ্রাস পায়।

৪. এ টপোলজির কেন্দ্রীয় ডিভাইস হাব/সুইচ নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্কটি অচল হয়ে পড়বে।

৫. হোস্ট ছাড়া বাকি কম্পিউটার গুলি একটির সাথে অপরটি ডাটা আদান-প্রদান করতে পারে না

৬. হাব বা সুইচ বা সার্ভার অচল হলে সম্পুর্ন নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে।

৭. প্রতিটি নোডের জন্য পৃথক পৃথক তারের প্রয়োজন হয় তাই এতে অপেক্ষাকৃত বাস্তবায়ন ব্যয় বেশি।

৮. নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলো পরস্পরের মধ্যে সরাসরি তথ্য বা ডেটা আদান প্রদান করতে পারে না।

৯. কখনো কখনো উল্লেখযোগ্য পরিমানে রাউটিংয়ের প্রয়োজন হলে ক্যাবল রাউটিংটি কঠিন হয়ে যায়। 

১০. এই ধরনের নেটওয়ার্ক বটলনেক সমস্যার জন্য ঝুঁকি পুর্ন হতে পারে। 

১১. এই সিস্টেমে কম্পিউটারের সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে ট্রান্সমিশনে কিছুটা সমস্যা হয়।

১২. এই নেটওয়ার্ক সিস্টেমে ডাটা ট্রান্সফার স্প্রিড কিছুটা স্লো হয়ে থাকে।

১৩. স্টার টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের কোনো সমস্যা নিরুপণ বেশ জটিল।

১৪. ডেটা ট্রান্সমিশনের প্রয়োজনীয় সময় সরাসরি নোডের সংখ্যার সাথে সমানুপাতিক।

১৫. একমুখী বৃত্তাকার পথে নোডসমূহ সংযুক্ত থাকার কারণে সরাসরি ডেটা প্রেরণ করা যায় না। ফলে সংকেত আদান-প্রদান ধীরগতি সম্পন্ন হয়।

১৬. যেকোন সময় নোড যুক্ত করা বা বাদ দেয়া যায়, এতে নেটওয়ার্ক প্রভাবিত হয় না।

১৭. যুক্ত অবস্থানে থাকা কম্পিউটারে কোন প্রকার জামেলা সৃষ্টি হলে সম্পূর্ন ডেটা ট্রান্সফার বন্ধ হয়ে যাবে।

১৮. রুট বা সার্ভার কম্পিউটারে ক্রুটি দেখা দিলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কটি অকার্যকর হয়ে যায়।

১৯. অন্তরবর্তী কম্পিউটারগুলো নষ্ট হলে নেটওয়ার্কের অংশবিশেষ অকার্যকর হয়ে যায়।

২০. ইন্সটলেশন ও কনফিগারেশন বেশ জটিল।

২১. বেশী তারের প্রোয়জন হয়।

২২. নেটওয়ার্কে অতিরিক্ত নোড স্থাপন করতে হয় বিধায় এতে খরচ বেড়ে যায়।

 FAQ :

 স্টার টপোলজি কতটুকু উপকারী এবং কার্যকারী? 

উত্তর: এটি সহজেই নেটওয়ার্ক তৈরি করে কিন্তু যখন এটি কেন্দ্রীয়ভাবে কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হয় তখন এটি সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সিস্টেমকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। পাশাপাশি এটি অনেক কার্যকারী কারন এই পন্থার মাধ্যমে অনেক সহজে নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায় এবং দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা যায়। কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়না। খুব সহযেই টেক্নিক্যাল সমস্যার সৃষ্টি হলেও তা সহজে সমাধান করা যায়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments