HomeBlogটপোলজি কাকে বলে ও কি কি

টপোলজি কাকে বলে ও কি কি

 সাধারণ অর্থে বললে টপোলজি  বলতে বুঝায় দুই  এর বেশি বিশেষ কোনো মাধ্যম দ্বারা  সংযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে কম্পিউটার যুক্ত হয়ে তথ্য আদান-প্রদান করে। সাধারণ ভাষায় কম্পিউটার গুলোকে নোড বলা হয়। প্রত্যেক নেটওয়ার্কের কিছু হোস্ট বা কম্পিউটারের সমন্বয়ে গঠিত, যারা একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে তথ্য আদান প্রদান করে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তা হলো পিএনএ। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যে সকল নেটওয়ার্ক ব্যবহার দেখা যায় এগুলো হল লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা  এলএএন। একটি শহরের মধ্যে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তা হলো এমএএন।দেশ জুড়ে বা পৃথিবী জুড়ে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তা হলো ডাবলুএএন। এই নেটওয়ার্কের অন্তর্গত কম্পিউটারগুলো জুড়ে দেয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় আর এই পদ্ধতি গুলো কে বলা হয় নেটওয়ার্ক টপোলজি 

YouTube

টপোলজির প্রকারভেদ

টপলজি প্রধানত ছয় প্রকার যথা :

বাস টপোলজি 

যে টোপোলজিতে একটি প্রধান কেবল এর সাথে সব কয়টি কম্পিউটার বা ওয়ার্ক স্টেশন সংযুক্ত থাকে তাকে বাস টপোলজি বলে। এই প্রধান কেবলটিকে ব্যাকবোন বলে। 

Facebook

এই টপোলজিতে একটা মূল ব্যাগবোন বা অনলাইনে সাথে সবগুলো কম্পিউটার কে জুড়ে দেওয়া হয়। বাস টপোলজিতে কোন একটা কম্পিউটার যদি অন্য কোন একটা কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে চায় তাহলে সব কম্পিউটারের কাছে সেই তথ্য পৌঁছে যায়। তবে যার সাথে যোগাযোগ করার কথা কেবল সেই কম্পিউটারটি তথ্য টা গ্রহণ করে।অন্য সব কম্পিউটার তথ্যগুলোকে উপেক্ষা করে। মনে রাখতে হবে  মূল বাস বা  ব্যাকবোন নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অকেজো হয়ে যায।বাস টপোলজি তে একসাথে কেবল একটি কম্পিউটারের মেসেজ পাঠাতে  পারে। কোন কম্পিউটার যদি অন্য কোন কম্পিউটারকে মেসেজ পাঠাতে চায় আর তখন যদি কোন কম্পিউটার মেসেজ পাঠায় তাহলে সেই কম্পিউটারকে অপেক্ষা করতে হবে তার মেসেজ পাঠানো শেষ না হওয়া পর্যন্ত। যখন মেসেজ পাঠানো শেষ হবে তখন অন্য কম্পিউটার মেসেজ পাঠাতে পারবে এজন্য নেটওয়ার্ককে কম্পিউটারের সংখ্যা নেটওয়ার্ক পারফরমেন্স অবনতি ঘটে। এটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অসুবিধা :

LinkedIn
  • এই ফিজিওগ্রাফিতে একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলেই বাকি সব কম্পিউটার সচল থাকে 
  • কেবল এর প্রয়োজন হয় না 
  • কম খরচে হয় 
  • ব্যবহার করার সহজ কারণ এটি নেটওয়ার্ক আকারের ছোট 
  • সহজেই একটি কম্পিউটার সংযুক্ত করা যায় 
  • এটি নেটওয়ার্ক খুব সাধারন এবং ফিজিকেল লাইনের সংখ্যা মাত্র একটি 

অসুবিধা:

  • প্রধান কেবল অর্থাৎ ব্যাকবোন নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে 
  • ত্রুটি নির্ধারণ করা কঠিন 
  • তথ্য ট্রান্সমিশনের গতি কম 

রিং টপোলজি 

এটি দেখতে অনেকটাই রিং এর মত বা গোলাকার দেখতে হওয়ার কারণে এটিকে রিংটোন টপোলজি বলে। 

যে টপোলজিতে নির্দিষ্ট কম্পিউটারকে পাশাপাশি দুটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করা হয়। এই টপোলজিতে একটা কম্পিউটার অন্য দুটো কম্পিউটারের সাথে যুক্ত। এ কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য যায় একটা নির্দিষ্ট দিক। এটিতে কম্পিউটার গুলোকে কিন্তু বৃত্তাকারে থাকার দরকার নেই সেগুলো  এলোমেলো থাকতে পারে। কিন্তু যদি সব সময় এ কম্পিউটার গুলোর মাঝে বৃত্তাকার যোগাযোগ থাকে তাহলে সেটি রিং টপোলজি। যদি এই প্রকল্পে একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক বিকল হয়ে যায় 

সুবিধা :

  • এটিতে কোন রকম হাব প্রয়োজন হয় না 
  • কম খরচে কে তৈরি করা হয় 
  • নেটওয়ার্কের সঞ্চালন গতি বেশি হয় 
  •  ম্যানেজ সহজেই করা যায় 

অসুবিধা :

  • এই ফিজিওগ্রাফিতে একটি কম্পিউটার নষ্ট হয় তাহলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক বিকল হয়ে যাবে 
  • নেটওয়ার্ক এ কোন কম্পিউটার যুক্ত করলে বা সরিয়ে নিলে পুরো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ব্যাহত হয়

স্টার টপোলজি 

একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটার বা হোস্ট কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য কম্পিউটার সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে তাকে টপোলজি বলে। 

অর্থাৎ কোন নেটওয়ার্ক সবগুলো কম্পিউটার যদি একটি কেন্দ্রীয় হাফ অথবা সুইচ একসাথে সংযুক্ত থাকে। একি তুলনামূলকভাবে সহজ ফিজিওগ্রাফি এবং  অনুমান করা যায। কেউ যদি খুব তাড়াতাড়ি সহজে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চায় তাহলে সে স্টার টপোলজি ব্যবহার করে। এই ফিজিওগ্রাফিতে একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে বাকি কম্পিউটারগুলোর সচল থাকে । কিন্তু কোনভাবে কেন্দ্রীয় হাফ অথবা সুইস নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্কটি নষ্ট হয়ে পড়ে।

সুবিধা:

  • এই ফিজিওথেরাপিতে খুব সহজেই তারাতারি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়  
  • কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে নেটওয়ার্ক নতুন কম্পিউটার সংযুক্ত করা যায় 
  • কেন্দ্রীয় ডিভাইস সুইচ অথবা হাব ব্ব্যবহারের ফলে খুব দ্রুত একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারের তথ্য বা উপাত্ত আদান প্রদান করা যায় 
  • এই ভিডিওগ্রাফিতে একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে বাকি কম্পিউটার গুলো সচল থাকে 

অসুবিধা: 

  • এই ভিডিওগ্রাফিতে  একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে বাকি কম্পিউটার গুলো সচল থাকে কিন্তু কোন ভাবে কেন্দ্রীয় হাফ অথবা সুইচ নষ্ট হলে পুরো নেটওয়ার্ক কি নষ্ট হয়ে পড়ে 
  • এটিতে অনেক কেবল ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় বলে ব্যয়বহুল 

ট্রি টপোলজি 

ট্রি মানে হচ্ছে গাছ। কাজেই এই ভিডিওগ্রাফিকে গাছের মতো দেখানোর কথ। গাছ যেরকম কান্ড থেকে ডাল একটা ডাল থেকে অন্য ডাল এবং সেখান থেকে আরও ডাল বের হয় এই ফিজিওগ্রাফিতে তাই হয় 

সুবিধা :

  • কোন কম্পিউটার সংযুক্ত করতে হলে পুরো নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে হয় না। 
  • অফিস ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এ ট্পোলজি খুবই উপযোগী। 

অসুবিধা :

  • সার্ভারের কোন সমস্যা দেখা দিলে পুরো নেটওয়ার্ক অচল 
  • একি তুলনামূলক জটিল 

হাইব্রিড টোপলোজি 

বাস, স্টর, রিং ইত্যাদি ভিডিওগ্রাফি সমন্বয়ে গঠিত নেটওয়ার্ক টপোলজিকে বলা হয় হাইব্রিড  টোপোলজি

ফিজিওগ্রাফির প্রয়োজন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে যদি এই ফিজিওগ্রাফিতে কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে নির্ণয় করা সম্ভব হয় ন।  এই নেটওয়ার্কের কোন একটি অংশ নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সচল থাকে শুধু  অংশবিশেষ নষ্ট হয়। 

সুবিধা :

  • এই টপোলজিতে প্রচুর অনুযায়ী নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে 
  • এই নেটওয়ার্কের কোন একটি অংশ নষ্ট হয়ে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক সচল থাকে শুধু অংশ বিশেষ  নষ্ট হয় 
  • সহজেই সমস্যা নির্ণয় করা যায় 

 অসুবিধা :

  • যদি এই ফিজিওগ্রাফিতে কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে নির্ণয় করা সম্ভব হয় না 
  • খরচ বেশি হয় 
  • নেটওয়ার্ক স্থাপন জটিল 

মেশ টপোলজি 

এটিতে কম্পিউটার গুলো একটি আরেকটি সাথে সংযুক্ত থাকে এবং একাধিক পথে যুক্ত হতে পারে। এখানে কম্পিউটার গুলোর শুধু যে অন্য কম্পিউটার থেকে তথ্য নেয় তা নয় বরং সেটি নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটারের মাঝে বিবরণ ও করতে পারে। যদি এমন হয় যে একটি নেটওয়ার্কের প্রতিটি কম্পিউটার ওই সরাসরি নেটওয়ার্কভুক্ত অন্য সবগুলো কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে সেটিকে বলে কমপ্লিট মেশ।

সুবিধা :

  • ফিজিওগ্রাফির প্রজনন যে নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে 
  • এই ফিজিওগ্রাফিকে একটি কেবল নষ্ট হয়ে গেলে বাকি কম্পিউটার সচল থাকে
  • এটি নেটওয়ার্ক আকারে ছোট তাই ব্যবহার করা সহজ 
  • খরচ কম হয় 

অসুবিধা :

  • প্রদান কেবল অর্থাৎব্যাকবোন নষ্ট  হয়ে এই সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচলায় পড়ে 
  • একিতে ত্রুটি নির্ধারণ করা কঠিন
  • তথ্য  ট্রান্সমিশন গতি কম  

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments